ঢাকা-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক প্রকল্প: সময় ও ব্যয় বাড়ছে

সবশেষ সংশোধনী প্রস্তাব অনুসারে, ঢাকা-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক সম্প্রসারণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি সার্ভিস লাইন স্থানান্তরিত করার প্রকল্পের কাজে আড়াই বছর দেরি হতে পারে। ব্যয় বেড়ে হতে পারে দ্বিগুণ।

সবশেষ সংশোধনী প্রস্তাব অনুসারে, ঢাকা-সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক সম্প্রসারণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি সার্ভিস লাইন স্থানান্তরিত করার প্রকল্পের কাজে আড়াই বছর দেরি হতে পারে। ব্যয় বেড়ে হতে পারে দ্বিগুণ।

বিষয়টি জানতে পেরে আমরা হতাশ হলেও অবাক হইনি।

প্রধানমন্ত্রী নিজে অসন্তোষ প্রকাশের পরেও সরকারি প্রকল্পে এমন সময় ও ব্যয় বাড়া অব্যাহত থাকা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রুটিপূর্ণ প্রকল্প নকশার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।

এমন দেরি শুধু হাতে থাকা প্রকল্পের জন্যই ক্ষতিকর নয়, অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পেও এর প্রভাব ফেলতে পারে। ভূমি অধিগ্রহণ করতে দেরি হলে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) ঢাকা-সিলেট এবং সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের দুটি বড় প্রকল্প স্থগিত হয়ে যাবে। 

প্রকল্পটির ভৌত কাজ আগামী বছরের জুনের মধ্যে শুরু হওয়ার কথা ছিল। ঠিকাদার নিয়োগের জন্য দরপত্রের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু, ভূমি অধিগ্রহণ না করা হলে ঠিকাদাররা কী কাজ করবে? 

বাংলাদেশের পরিবহন খাতে এটিই প্রথম প্রকল্প, যা এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে। এআইআইবি সুনির্দিষ্টভাবে শর্ত দিয়েছে, ভূমি অধিগ্রহণ না হলে মহাসড়কের সম্প্রসারণ শুরু করা যাবে না। ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে।

গত তিন বছরে জমি খালি করার প্রকল্পটি প্রায় ২৫ শতাংশ এগিয়েছে। সওজ সূত্র বলছে, প্রকল্প প্রস্তাব একটি সম্ভাব্যতা যাচাই গবেষণা এবং ২০১৫ সালের বিশদ নকশার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল। পরে সড়ক সম্প্রসারণ ও সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য এতে পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু, প্রথমেই কেন মূল নকশায় এসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, তার কোনো ব্যাখ্যা নেই।

হাইওয়ে সম্প্রসারণ প্রকল্পের পরিচালক সাংবাদিকদের বলেন, 'অবকাঠামো নির্মাণের কাজ শুরু করার আগে জমি তৈরি থাকার কথা ছিল। কিন্তু, বাস্তবে তা হয় না।'

ব্যয় ও সময় বাড়ার বিষয়টির এমন গ্রহণযোগ্যতা হতাশাজনক। আমরা প্রধান প্রধান অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও কেন এই ধরনের অলসতা অব্যাহত রাখছি তা খতিয়ে দেখার এবং এই হতাশাজনক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

Comments

The Daily Star  | English

Pak PM lauds Bangladesh’s economic progress

Says ‘we feel ashamed when we look towards them’

1h ago