শুধু সিআরবি নয়, কোনো সবুজ বলয় ধ্বংস করবেন না

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান সুরক্ষায় ১৮৯৫ সালে ইংল্যান্ডে গঠিত হয় প্রথম ‘জাতীয় ট্রাস্ট’। একই সালে তৎকালীন উপনিবেশিক ভারতে ‘বেঙ্গল এন্ড আসাম রেলওয়ের’ সদরদপ্তর ভবন নির্মিত হয় চট্টগ্রামে। পাহাড়ি টিলায় ঘেরা এক বুনো প্রাকৃতিক পরিবেশে। এই রেলওয়ে ভবন একটি বিশেষ কোনো ‘পাবলিক প্রতিষ্ঠানের’ অফিসিয়াল চত্বর হয়ে থাকেনি। বহুদিনে শতবর্ষী বৃক্ষ, বুনো পাখি আর মানুষের কলতানে জায়গাটি চট্টগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ ‘সবুজ বলয়’ হয়ে ওঠে। সকলের প্রিয় ‘সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং (সিআরবি)’।
ছবি: সঞ্জয় কুমার বড়ুয়া/ স্টার

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান সুরক্ষায় ১৮৯৫ সালে ইংল্যান্ডে গঠিত হয় প্রথম ‘জাতীয় ট্রাস্ট’। একই সালে তৎকালীন উপনিবেশিক ভারতে ‘বেঙ্গল এন্ড আসাম রেলওয়ের’ সদরদপ্তর ভবন নির্মিত হয় চট্টগ্রামে। পাহাড়ি টিলায় ঘেরা এক বুনো প্রাকৃতিক পরিবেশে। এই রেলওয়ে ভবন একটি বিশেষ কোনো ‘পাবলিক প্রতিষ্ঠানের’ অফিসিয়াল চত্বর হয়ে থাকেনি। বহুদিনে শতবর্ষী বৃক্ষ, বুনো পাখি আর মানুষের কলতানে জায়গাটি চট্টগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ ‘সবুজ বলয়’ হয়ে ওঠে। সকলের প্রিয় ‘সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিং (সিআরবি)’।

কিন্তু এই সবুজ বলয় আজ শঙ্কিত। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এই সবুজ বলয়ে হাসপাতাল বানাতে চায়। আর এতেই শঙ্কা। তাহলে, এখানকার শতবর্ষী গাছেরা যাবে কোথায়? এখানকার পাখি-পতঙ্গদের কে দেবে আশ্রয়? মানুষ বুক ভরে শ্বাস নেওয়ার আর একটু সবুজের সান্নিধ্য পাবে কোথায়?

হাসপাতাল অবশ্যই দরকার। এই করোনা মহামারিতে আমরা স্পষ্ট টের পাচ্ছি কত নিবিড়ভাবে আমাদের হাসপাতাল দরকার। কিন্তু, একটি হাসপাতাল নির্মাণ করতে গিয়ে এক ঐতিহাসিক পাবলিক সবুজ বলয়কে বিপদের মুখে ফেলে দেওয়া কোনো সংবেদনশীল উন্নয়নবিধি নয়। কারণ, এই সবুজ বলয়ও মানুষসহ নানা প্রাণসত্ত্বাকে বিনামূল্যে অক্সিজেন যোগায়, বেঁচে থাকার সামাজিক-পরিবেশগত-মানসিক রসদ যোগায়। শঙ্কা এ কারণেই যে, কোনো বৃহৎ অবকাঠামো বা স্থাপনা নির্মাণে আমরা দেখেছি বারবার কত নিদারুণভাবে বৃক্ষ, পাখি, পতঙ্গসহ বুনো প্রাণী নিশ্চিহ্ন করা হয়। নির্দয়ভাবে পাহাড়ি টিলা চুরমার করে সিলেট বা চট্টগ্রাম শহর গড়ে তোলা হয়েছে। এসব শহর আজ ঝলমলে প্লাস্টিক, প্রাণ নেই শিরায়। সিলেটের বিশাল দীঘিগুলো দিন-দুপুরে হত্যা করা হয়েছে। ঐতিহাসিক এসব দীঘির পরিবেশগত অবদান ছিল অবিস্মরণীয়। নাই হতে হতে চট্টগ্রাম শহরের ‘সিআরবির’ মতো একটি মাত্র পাবলিক সবুজ বলয়ের দিকে আজ তাক করেছে উন্নয়নের অমীমাংসিত তর্ক। তর্কটি কোনোভাবেই হাসপাতাল বনাম সিআরবি নয়। এটি হতেই পারে না।

একটি হাসপাতালও সবুজ বলয় ছাড়া সম্ভব নয়, আবার একটি সবুজ বলয় সাজায় প্রাকৃতিক নিরাময়ের আবহ। চলতি লেখাটি হাসপাতাল চায় সবার জন্য। তবে সিআরবির মতো এক ঐতিহাসিক সবুজ বলয়কে আহত করে নয়, অন্যত্র কোথাও। সিআরবিকে সুরক্ষিত রেখে জনদাবিকে গুরুত্ব দিয়ে আশা করি হাসপাতাল শুরু হবে অচিরেই।

সিআরবির পরিবেশগত অবদান

কী নেই সিআরবি চত্বরে? সিআরবি এখন বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চলীয়) মহাব্যবস্থাপকের কার্যালয়। উইকিপিডিয়া জানায়, ১৮৭২ সালে নির্মিত এই ভবনটি চট্টগ্রাম শহরের প্রাচীনতম ভবন। ১৯৯৪ সালে এখানে রেলওয়ে হাসপাতাল তৈরি হয়। কেবল প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো বা প্রত্নতাত্ত্বিক ঐতিহাসিকতা নয়, সিআরবির বাস্তুতন্ত্রের গুরুত্বও অপরিসীম। সিআরবির পরিবেশগত অবদান কতখানি? এর উত্তর খুব জটিল। কারণ, প্রশ্নটি কার কাছে করা হচ্ছে সেটি গুরুত্বপূর্ণ। যে পাখিদের নানা-নানি আর দাদা-দাদিরা নগরায়নের ফলে একটা পাহাড়ি বন হারিয়েছে সেই নাতি-পুতি পাখিদের আশ্রয়স্থল এই সিআরবি। এখন এই পাখিদের কাছে সিআরবির পরিবেশগত অবদান তাদের বাঁচা-মরার সঙ্গে সম্পৃক্ত।

অথবা যারা একটু শ্বাস নিতে, ব্যায়াম করতে, শরীর সুস্থ রাখতে কিংবা মন চাঙা করতে এই চত্বরে আসেন। তাদের বিনে পয়সায় নির্মল বায়ু আর সবুজ বলয় উপহার দিয়ে যাচ্ছে সিআরবি। বর্ষবরণ থেকে শুরু করে সামাজিক-সাংস্কৃতিক নানা পার্বণের আয়োজন কী জমবে এই মায়াঘেরা সবুজ বলয় ছাড়া? এখানে যত শতবর্ষী গাছ আছে তাকে জড়িয়ে ধরবার মতো দুনিয়ায় আর কতগুলো স্থানই বা পাবে আমাদের শিশুরা। চারিধারে ডালপালা ছড়িয়ে রাখা শতবর্ষী এসব বৃষ্টিছাতা গাছ দেখলে কোনো উন্নয়নবিদ মনে করতে পারেন না এসব গাছ কেটে ইট-সিমেন্টের গরাদ বানাবেন?

সিআরবির বৃষ্টিছাতা গাছের বাকলগুলো চোখ বন্ধ রেখে একবার আলতো হাতে স্পর্শ করে দেখুন, শত বছরের আখ্যান মেলে ধরবে গাছ। সিআরবির শিরিষতলা খুব গুরুত্ববহ সবুজ বলয়। পুরো সিআরবি জুড়ে বৃক্ষ, গুল্ম, তৃণের বৈচিত্র্য আছে। পাখি, পতঙ্গ, সরীসৃপ, কাঠবিড়ালিসহ আছে নানা বুনোপ্রাণ। কেবল বড় বৃক্ষ নয়; গাছের গায়ে জন্মানো লাইকেন, মস, ফার্ণ, ছত্রাক, পরাশ্রয়ী গুল্মলতা, বাস্কেট ফার্ণ সবাই সিআরবি বাস্তুতন্ত্রের অংশ। এখানকার মাকড়সা, ফড়িং, উড়চুঙ্গা, ব্যাঙ, কেঁচো, পিঁপড়া, প্রজাপতি আর মাটির অণুজীব এই সবুজ বলয় গঠনে রাখছে অবিরল ভূমিকা।

নানা বয়সী, নানা শ্রেণি-পেশা-লিঙ্গের মানুষ এই সবুজ বলয়ের সঙ্গে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সম্পর্কের মাধ্যমে জড়িত। মানছি এটি কোনো সুবিন্যস্ত উদ্যান নয়, কিংবা নয় কোনো আরবোরেটাম বা বিনোদন পার্ক। কিন্তু, প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের ঐতিহাসিক সংহতিতে এখানে বিকশিত হয়েছে এক জটিল বাস্তুতন্ত্র। এই বাস্তুতন্ত্র থেকে মানুষ, বৃক্ষ, পাখি, পতঙ্গ কিংবা সাংস্কৃতিক ঐতিহাসিকতা স্মৃতি কোনো কিছুই জোর করে বাদ দেওয়া যাবে না। এতে প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক উভয় বাস্তুশৃঙ্খলায় বিশৃঙ্খলা দেখা দেবে। যে বিপদ সামাল দিতে হবে চট্টগ্রামের আগামী দিনের মানবশিশু থেকে শুরু করে সিআরবির পাখিছানাদেরও।

নগর পরিকল্পনা নাগরিকের অধিকার

আমাদের উন্নয়নবিদদের যেন বাস্তুতন্ত্রের সঙ্গে বিবাদ আছে। কিংবা জনভূগোলে যা দরকার তা পাঠের যেন কোথাও বেসামাল ঘাটতি আছে। যেমন চিম্বুক পাহাড়ে একটা হাসপাতাল বা স্কুল নেই, সেখানে হাসপাতাল না বানিয়ে ম্যারিয়টরে মতো বিলাসবহুল হোটেল বানানো হচ্ছে। বাবুই পাখিরা যখন আশেপাশের তালগাছে বাসা বানায় তখন সবাই একসঙ্গেই পরিকল্পনা করে। প্রাণিজগতে এমন ঢের সর্বজনীন পরিকল্পনা আছে। প্রাচীন গ্রামগুলো গড়ে উঠেছিল যৌথ পরিকল্পনায়। কিন্তু, আমাদের নগরগুলো? কোনো ছিরিছাঁদ নেই, দম ফেলবার একটু খানি জায়গা নেই, দুরন্ত শৈশবে হুটোপুটি করার কোনো সবুজ লুকোচুরি নেই।

অনেকে বলেন, নগর পরিকল্পনায় আমরা ‘পরিবেশ’ প্রসঙ্গ গুরুত্ব দেই না। আদতে নগর পরিকল্পনায় সবচে কম গুরুত্ব পায় ‘মানুষ’। কারণ মানুষ পরিবেশের এক সংবেদনশীল অংশ। অথচ যে নগর গড়ে ওঠে চারিধারে সে নগরে মানুষের পরিকল্পনা কোথায়। আজ নগর পরিকল্পনায় নগরের নারী, পুরুষ, শিশু, পেশাজীবী, দিনমজুর, গরিব বস্তিবাসী, তরুণ, সংগঠকসহ সকল পেশাজীবীদের মতামত নেওয়া জরুরি। সবাই মিলেই সবার জন্য নগর। এখানে পাখিও থাকবে, গাছ, জলাশয়, বন্যপ্রাণ আর সবার সঙ্গে জীবন মিলিয়ে থাকবে মানুষ। চট্টগ্রামের সিআরবি একটি অতি খুদে নমুনা মাত্র। সিআরবিকে আরও বেশি সুরক্ষিত করা জরুরি। এর প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য বিকাশ ও সুরক্ষায় দরকার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা। তবে, ২০১২ সালের দিকে প্রায় দশ কোটি টাকা ব্যয়ে সিআরবিকে একটি বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তুলতে চেয়েছিল চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক)।

২০১৩ সালের ১৪ আগস্ট সিআরবিতে একটি হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা গৃহীত হয়। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ এন্ড কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ে একটি নির্মাণ চুক্তি করে। এরপর প্রকল্পের একটি সাইনবোর্ড বসানো হয়। সিআরবি রক্ষায় চট্টগ্রামসহ দেশের পরিবেশ সচেতন ও নগরে পাবলিক অঞ্চল সুরক্ষার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে উঠেছে। সবাই হাসপাতাল চায়, তবে সিআরবিকে রক্ষা করে অন্য কোথাও।

সবুজ বলয় জরুরি

হাসপাতাল নাকি সবুজ বলয়, কোনটা জরুরি? এটি কোনো প্রশ্ন হতে পারে না। কারণ হাসপাতাল পুরোপুরি মানুষের সামাজিক নির্মাণ, অন্যদিকে একটি সবুজ বলয় গড়ে ওঠে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংস্কৃতির মিথষ্ক্রিয়ায়। হাসপাতাল অবশ্যই দরকার, এখানে কোনো প্রশ্ন অথবা শর্ত টানা অবান্তর। কিন্তু, একটি সবুজ বলয়কে আঘাত করে হাসপাতাল নয়। আর সিআরবির মতো সবুজ বলয় দীর্ঘসময় জুড়ে নানা বয়সী মানুষের শরীর ও মনের সুস্থতায় বিনামূল্যে প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় ভূমিকা রাখছে।

সিআরবির মতো পাবলিক সবুজ বলয় সুরক্ষায় রাষ্ট্রের নথি ও বিধি কী বলে? বাংলাদেশের সংবিধান দুনিয়ার এক অনন্য রাষ্ট্রবিধান- যেখানে পরিবেশকে নাগরিকের অধিকার হিসেবে দেখা হয়েছে। সংবিধানের ১৮ (ক) অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে, ‘রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবে এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, বন ও বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবে’। ঐতিহাসিক এই সিআরবি সবুজ বলয় সুরক্ষা করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগের ২৪ ধারা অনুযায়ী ঐতিহ্য ভবন হিসেবে সিআরবিকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণাও করা হয়েছে। জাতীয় পরিবেশ নীতি ২০১৮-এর ৩.১৭ ধারায় উল্লেখ আছে, সারাদেশে খেলার মাঠ, পার্ক, বাগান, নার্সারি উন্মুক্ত স্থান ও ঐতিহ্যবাহী প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনাসমূহ সংরক্ষণে গ্রহণযোগ্য মানদণ্ড ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে হবে। শহর এলাকার উদ্যান, প্রাকৃতিক জলাধার ও উন্মুক্ত স্থান সুরক্ষায় ২০০০ সালের আইনে বলা আছে, এসব জায়গার শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। নথি, দলিল বা বিধির চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ জনগণের প্রয়োজন এবং তাদের মতামত।

চট্টগ্রামবাসীর জন্য সিআরবির মতো একটা পাবলিক সবুজ বলয় খুব জরুরি, অবশ্যই হাসপাতালও। এখন আমাদের সিআরবিকে সুরক্ষিত রেখে একটা চমৎকার হাসপাতাল নির্মাণে রাষ্ট্রকে সহযোগিতা করতে হবে। উপযুক্ত স্থান, নির্মাণ কলা, স্থাপত্য, পরিবেশ প্রশ্ন, জনমতামত নানাকিছুর সম্মিলন ঘটিয়ে।

বাংলাদেশে মানুষের তৈরি খুব বেশি প্রাচীন উদ্যান বা সবুজ বলয় আজ আর টিকে নেই। ১৮৯৪ সালে উদ্যানবিদ ঈশ্বরচন্দ্র গুহ জামালপুরে ৪৫ বিঘা জমিতে ‘চৈতন্য নার্সারি’ নামে এক কৃষিভিত্তিক গবেষণা উদ্যান ও নার্সারি গড়ে তুলেছিলেন। চৈতন্য নার্সারির আগে ১৮০০ শতকে ময়মনসিংহের ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে গড়ে ওঠে বিপিন পার্ক। পার্কটি এখনো আছে, কিন্তু এর সেই প্রাচীন বাস্তুসংস্থান আর উদ্ভিদবৈচিত্র্য কিছুই আজ নেই। গাজীপুরের বলধার জমিদার নরেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী ১৯০৯ সালে ঢাকার ওয়ারীতে গড়ে তোলেন ‘বলধা গার্ডেন’। জমিদার মঙ্গল চাঁদ চুনিলাল খুলনায় প্রায় চার বিঘা জমিতে ১৯২৮ সালে গড়ে তোলেন বিশেষ উদ্যান ‘প্রেমকানন’। প্রায় ৪১০ বছর আগে ঢাকায় গড়ে তোলা হয় ঐতিহাসিক রমনা উদ্যান ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। ১৯৬১ সালে ঢাকার মিরপুরে প্রায় ২০৮ একর জায়গায় গড়ে তোলা হয় ‘জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান’।

দেশের সকল অঞ্চলের প্রাচীন উদ্যান ও টিকে থাকা সবুজ বলয়গুলোর তালিকা তৈরি জরুরি। এসব সবুজ বলয় বিকাশ ও সুরক্ষিত রাখতে পরিকল্পনা গ্রহণ জরুরি। আসুন সবাই সিআরবিকে আগলে দাঁড়াই। সিআরবির সবুজ বলয়কে সুরক্ষিত রেখে হাসপাতাল নির্মাণে উদ্যোগী হই।

পাভেল পার্থ, প্রতিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্য বিষয়ক গবেষক, [email protected]

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)

Comments

The Daily Star  | English
IMF calls for smaller budget

IMF suggests raising power, gas and fertiliser prices

The International Monetary Fund yesterday recommended reducing government subsidies by hiking prices of power, gas and fertiliser, and spending the saved money on society safety net programmes.

12m ago