দেবী দুর্গার অস্ত্র ও মহিমাসজ্জিত রূপ

দুর্গা শব্দের অর্থ যিনি দুর্গতি বা সংকট থেকে রক্ষা করেন। অর্থাৎ সংকট বা দুর্গতি থেকে তিনি রক্ষা করবেন এবং করেন বলেই তিনি দুর্গা। সংকট মোচনের জন্য তার অধিষ্ঠান হয়েছে তা কিন্তু নয়। শাস্ত্র পাঠ করলেই জানা যায়, দেবী দুর্গার আগমনই হয়েছে সময়ের প্রয়োজনে। যখন দেবালয়ে আসুরিক প্রবৃত্তি বেড়ে গিয়েছিল। মহিষাসুর দেবতাদের শান্তি বিনষ্ট করে দিয়েছিল সেইসময় দেবী দুর্গার আগমন ঘটে। হিন্দুশাস্ত্রে ‘দুর্গা’ শব্দটিকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলা হয়েছে—
ছবি: পলাশ খান

দুর্গা শব্দের অর্থ যিনি দুর্গতি বা সংকট থেকে রক্ষা করেন। অর্থাৎ সংকট বা দুর্গতি থেকে তিনি রক্ষা করবেন এবং করেন বলেই তিনি দুর্গা। সংকট মোচনের জন্য তার অধিষ্ঠান হয়েছে তা কিন্তু নয়। শাস্ত্র পাঠ করলেই জানা যায়, দেবী দুর্গার আগমনই হয়েছে সময়ের প্রয়োজনে। যখন দেবালয়ে আসুরিক প্রবৃত্তি বেড়ে গিয়েছিল। মহিষাসুর দেবতাদের শান্তি বিনষ্ট করে দিয়েছিল সেইসময় দেবী দুর্গার আগমন ঘটে। হিন্দুশাস্ত্রে 'দুর্গা' শব্দটিকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলা হয়েছে—

'দৈত্যনাশার্থবচনো দকারঃ পরিকীর্তিতঃ।

উকারো বিঘ্ননাশস্য বাচকো বেদসম্মত।।

রেফো রোগঘ্নবচনো গশ্চ পাপঘ্নবাচকঃ।

ভয়শত্রুঘ্নবচনশ্চাকারঃ পরিকীর্তিত।।'

অর্থাৎ, 'দ' অক্ষরটি দৈত্য বিনাশ করে, উ-কার বিঘ্ন নাশ করে, রেফ রোগ নাশ করে, 'গ' অক্ষরটি পাপ নাশ করে এবং আ-কার শত্রু নাশ করে। একসঙ্গে করলে এর অর্থ দাঁড়ায়, দৈত্য, বিঘ্ন, রোগ, পাপ ও শত্রুর হাত থেকে যিনি রক্ষা করেন, তিনিই দুর্গা।

অন্যদিকে শব্দকল্পদ্রুম বলেছে, 'দুর্গং নাশয়তি যা নিত্যং সা দুর্গা বা প্রকীর্তিতা'। অর্থাৎ, যিনি দুর্গ নামে অসুরকে বধ করেছিলেন, তিনি সব সময় দুর্গা নামে পরিচিত। (শব্দকল্পদ্রুম ৩।১৬৬৬; পূজা-বিজ্ঞান, স্বামী প্রমেয়ানন্দ, উদ্বোধন কার্যালয়, কলকাতা, ১৯৯৯, পৃষ্ঠা ৪৪)

দেবী দুর্গাকে নিয়ে বিস্ময় এবং আগ্রহের কমতি নেই। দুর্গাপূজা বা দুর্গোৎসব বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব। এই কারণে দুর্গাপূজা নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই। আর বিস্ময় এই কারণেই যে, তিনি দশভুজা বা দশ হাত বিশিষ্টা নারী এবং দেবীর দশ হাতে দশ রকম অস্ত্র।

হিন্দু দেবদেবীর মধ্যে এই ধরনের রূপ সহজে দেখা মিলে না। প্রশ্ন হলো, কেন দেবীর দশ হাত, কেন এত অস্ত্র? চণ্ডিতে দেবী দুর্গাকে দশ প্রহরণধারিণী নামে অভিহিত করা হয়। মহালয়ার পুণ্য তিথিতে আহ্বান জানানো হয়, জাগো দুর্গা, জাগো দশ প্রহরণধারিণী। প্রহরণ শব্দের অর্থ হাতিয়ার, প্রহার বা অস্ত্র। দশ হাতে অস্ত্রে সুসজ্জিত হয়ে যিনি অসুর বা অপশক্তি নাশ করেন তিনিই দশ প্রহরণধারিণী।

দেবীর দশ হাতে এত অস্ত্র সুসজ্জিত হলো কীভাবে? মহিষাসুরকে বধের জন্য ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বরের শরণাপন্ন হন দেবতারা। ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বরের মিলিত ত্রিশক্তি থেকে দেবী দুর্গার আবির্ভাব। প্রত্যেক দেবতার তেজে দেবীর বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গড়ে ওঠে এবং দেবীর দশটি হাত আবির্ভূত হয়।

জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, পৃথিবীর দশটি দিকের প্রতিভূ এই দশ হাত। পুরাণে বলা আছে, কুবের, যম, ইন্দ্র, বরুণ, ঈশান, বায়ু, অগ্নি, নৈঋত, ব্রহ্মা ও বিষ্ণু এই দশ দিক থেকে মহিষাসুরকে বধ করার উদ্দেশ্যে দেবী দুর্গার দশটি হাত সৃষ্টি। দেবীর আবির্ভাবের পর দেবীকে সুসজ্জিত করার জন্য দেবতারা অস্ত্র প্রদান করেন। দেবতারা শুধু যে দেবীকে অস্ত্র দেন তা নয়, দেবীর শরীরের বস্ত্র, অলংকারও দেবতারা প্রদান করেন।

দেবীকে অস্ত্রে সুসজ্জিত করা এবং এই অস্ত্রগুলো দেওয়ার পেছনেও শাস্ত্রে ব্যাখ্যা রয়েছে। মার্কণ্ডেয় পুরাণে দেবী দুর্গা সৃষ্টির কারণ বর্ণিত আছে। শাস্ত্রে দেবীর দশ হাতের অস্ত্র সম্পর্কে বর্ণনা আছে। তা নিম্নরূপ—

শঙ্খ: শঙ্খ জাগরণের প্রতীক। পুরাণ মতে, শঙ্খ থেকে যে শব্দের উৎপত্তি হয় তার থেকেই জীবজগতের সমস্ত প্রাণের সৃষ্টি। শঙ্খ বা শাঁখ দেবী দুর্গার বাম হাতে থাকে। বরুণদেব এই অস্ত্র দেবীকে প্রদান করেন। এটি ঠিক অস্ত্র নয়।

সমগ্র জীব জগতের স্পন্দন স্বরূপ এই অস্ত্র দেবীর হাতে সজ্জিত থাকে। যুদ্ধের সময় শঙ্খ বাজিয়ে যুদ্ধের সূচনা হতো। পুরাণ মতে, পৃথিবী সৃষ্টির সময় জলমগ্ন ছিল আর তখন শ্রী বিষ্ণু একটি শঙ্খের রূপে অবস্থান করছিলেন সমুদ্রের গভীর তলদেশে। এই শঙ্খের মধ্য দিয়েই মহিষাসুরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন দেবী।

চক্র: ভগবান বিষ্ণু দেবী দুর্গাকে চক্র বা সুদর্শন চক্র প্রদান করেন। চক্র দেবীর ডান হাতে থাকে। 'সু' অর্থাৎ সুন্দর আর 'দর্শন' অর্থাৎ দৃশ্যমান। সুদর্শন চক্র হলো ব্রহ্মাণ্ডের প্রতীক স্বরূপ। যে চক্রে ব্রহ্মাণ্ড ঘুরছে। বিশ্বকর্মা সুদর্শন চক্র নির্মাণ করেছিলেন শ্রী বিষ্ণুর জন্য। জগতে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং অশুভ শক্তির বিনাশের জন্য এই সুদর্শন চক্রের সৃষ্টি। দেবতাদের অসুর বিনাশের আকুতি দেখে স্বয়ং শ্রী বিষ্ণু চক্রটি দেবী দুর্গাকে প্রদান করেন।

গদা বা কালদণ্ড: গদা বা কালদণ্ড হলো মহা প্রীতি ও আনুগত্যের প্রতীক। দেবী দুর্গার বাম হাতে গদা বা কালদণ্ড থাকে। ধর্মরাজ যম গদা বা কালদণ্ড মহিষাসুর নিধন যজ্ঞে দেবী মহামায়াকে এই অস্ত্র প্রদান করেন। কাল বা মহাকালের প্রতি আমরা অনুগত। দেবী দুর্গার হাতে গদা বা কালদণ্ডকে সম্মোহনকারী শক্তি হিসেবে দেখা হয়। মহিষাসুরকে বধ করার নিমিত্তে বা সম্মোহিত করার জন্য গদা বা কালদণ্ড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

পদ্ম, অক্ষমালা ও কমণ্ডলু: দেবী দুর্গাকে শঙ্খ, চক্র, গদা পদ্ম ধারীও বলা হয়। পদ্ম আলোর প্রতীক। দেবী দুর্গাকে পদ্ম, অক্ষমালা, কমণ্ডলু প্রদান করেন প্রজাপতি ব্রহ্মা। পদ্ম ফুলের জন্ম পুকুরে অথবা জলাধারের গভীরে হলেও অন্ধকার থেকে আলোর পথে উত্তরণের প্রতীক হলো পদ্ম।

হিন্দুশাস্ত্রের প্রায় সব দেবদেবীদের অধিষ্ঠান প্রস্ফুটিত পদ্মের উপর। পদ্মকে সর্ব শক্তির আধার ধরা হয়। এছাড়া দেবী দুর্গার দক্ষিণ হাতে থাকে অক্ষমালা ও কমণ্ডলু। অক্ষমালা ও কমণ্ডলু পবিত্রতার প্রতীক।

খড়গ: খড়গ হচ্ছে ষড়রিপু দমনের প্রতীক। খড়গ হলো বলি প্রদানের অস্ত্র। বলি হলো, বিবেক-বুদ্ধির মধ্যে নিহিত অশুভের নিধন যজ্ঞ। কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ ও মাৎসর্যকে সংক্ষেপে বলে ষড়রিপু। ষড়রিপু দমন নিজের আত্ম শক্তিকে পরিশুদ্ধির প্রক্রিয়া। দেবীর ডান হাতে খড়গ উদ্যত হয়ে থাকে। শ্রী শ্রী চণ্ডীতে দেবী চামুণ্ডার কথা আছে, যিনি অসুর নিধন কালে তাঁর হাতে খড়গ দ্বারা অশুভ শক্তি নাশ করেন। দেবীর হাতে সজ্জিত খড়গ হলো, পরম মোক্ষেরও প্রতীক। এই খড়গ সর্বদা উদ্যত অভয় প্রদানকারী। মোক্ষ হল মুক্তির পথ, যা মানব জীবনের একমাত্র অভীষ্ট।

ধনুর্বাণ বা তীর-ধনুক: লক্ষ্যভেদ বা স্থির লক্ষ্য আর ঋণাত্মক শক্তির প্রতীক হলো ধনুর্বাণ বা তীর-ধনুক। দেবী দুর্গার বাম হাতে ধনুর্বাণ বা তীর-ধনুক থাকে। পবনদেব এই অস্ত্র প্রদান করেন। জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত বা ঘটনাক্রম আমাদের পরীক্ষার মুখে ফেলে দেয়, প্রতি পদক্ষেপে জীবের জীবন সেই পরীক্ষা বা যুদ্ধের নামান্তর মাত্র। তাই যুদ্ধে জয় পেতে বা লক্ষ্য স্থির রাখতে তীর-ধনুক কাল্পনিক লক্ষ্যভেদের অস্ত্র হিসেবে দেবীর হাতে সজ্জিত থাকে।

ঘণ্টা: ঘণ্টার ধ্বনিতে যুদ্ধের সূচনা হয়। শাঁখ-ঘণ্টার মিলিত নিনাদে অশুভ শক্তির বিনাশের কাল ঘোষিত হয়ে থাকে। দেবীর বাম হাতে থাকে ঘণ্টা। দেবরাজ ইন্দ্রের বাহন ঐরাবত ঘণ্টা অস্ত্রটি দেবীকে প্রদান করেন। ঘণ্টা আসুরিক শক্তিকে দুর্বল করে। শ্রী শ্রী চণ্ডীতে বর্ণিত আছে দেবী মহিষাসুরকে যুদ্ধে আহ্বান করার সময় সতর্কবার্তা স্বরূপ দেবী অট্টহাসি হাসেন এবং শাঁখ ও ঘণ্টার ধ্বনিতে তাদের যুদ্ধের প্রস্তুতির নির্দেশ দেন।

শব্দ এমন তরঙ্গ যার প্রভাব সুদূরপ্রসারী। সেই সুদূরপ্রসারী শব্দ তরঙ্গ বার্তা বাহক হিসেবেও কাজ করে।

শাস্ত্রে বলা আছে, 'সা ঘণ্টা পাতু নো দেবি পাপেভ্যো নঃ সুতাম্ইব'। অর্থাৎ ভক্তরা মায়ের কাছে প্রার্থনা করছে, মা তোমার ওই যে ঘণ্টা অসুরদের তেজ হরণ করেছিল সেই ঘণ্টার আমরাও শরণ নিচ্ছি, আমাদের পাপকে সেই ঘণ্টা যেন হরণ করে নেয়।

বজ্র: বজ্র দৃঢ়তা এবং সংহতির প্রতীক। দেবীর বাম হাতে থাকে বজ্র। দেবরাজ ইন্দ্র দেবী দুর্গাকে বজ্র প্রদান করেন। আমাদের যাপিত বা ব্যবহারিক জীবনে ও চরিত্রে কঠোরতা প্রয়োজন। সংহতি পূর্ণ সমাজ জীবন সব মানুষের কাম্য। তাই দেবীর হাতে বজ্র শোভা পাচ্ছে।

সর্প বা নাগপাশ: সর্প বা নাগপাশ বিশুদ্ধ চেতনার প্রতীক। নাগরাজ দেন সর্প বা নাগপাশ। দেবী দুর্গার বাম হাতে নিচের দিকে সর্প বা নাগপাশ থাকে। আসুরিক প্রবৃত্তি লাঘব এবং মনে বিশুদ্ধ চেতনার বিকাশে দেবী দুর্গার হাতে সর্প বা নাগপাশ শোভা পায়।

ত্রিশূল: ত্রিশূলের তিনটি তীক্ষ্ণ ফলা। প্রত্যেকটির আলাদা আলাদা অর্থ রয়েছে। দেবী দুর্গার হাতে ত্রিশূল অস্ত্রটি প্রধান অস্ত্র হিসেবে দেখা যায়। দেবাদিদেব মহাদেবের হাতে ত্রিশূল থাকে। ত্রিকাল দণ্ড স্বরূপ এই অস্ত্র মহাদেব দেবী দুর্গাকে প্রদান করেন। শাস্ত্র মতে, ত্রিশূল হলো ত্রিগুণের প্রতীক। এই ত্রিগুণ হলো সত্ত্ব, রজঃ, তমঃ। সত্ত্ব গুণ হলো দেবগুণ। অর্থাৎ, এই গুণ নিরহংকার, ত্যাগ ও উচ্চ অলৌকিকত্বের প্রকাশ। এই গুণের অধিকারী দেবতারা। রজঃ গুণ হলো মনুষ্যকুল বা জীবের গুণ। শোক, লোভ, মায়া, দুঃখ, মোহ, কাম সবই রজঃ গুণ। এই গুণ জীবকুলের মায়া স্বরূপ। জীবনের মোহে আচ্ছন্ন করে রাখে চরাচরকে। তমঃ গুণ হলো রাক্ষস বা ঋণাত্মক শক্তির প্রকাশ। সব ধ্বংসের মূল হলো এই রজঃ গুণ। ক্রোধ, লোভ, প্রতারণা, চুরি, মিথ্যা, বিলাসিতা, হত্যা ইত্যাদি অপরাধমূলক কাজকে রজঃ গুণ বলে। ত্রিশূলের মধ্য ভাগের ফলাটি সত্ত্ব। আর বাকি দুটি রজঃ ও তমঃ গুণ বিশিষ্ট ফলা। অর্থাৎ মানব জীবনের লক্ষ্য হলো সত্ত্বঃ গুণের বিকাশ যা মুক্তির পথ। ত্রিশূল যার স্পর্শে বা স্মরণ নিলে ত্রিগুণ থেকে মুক্তি লাভ হয়।

এছাড়াও দেবতাদের অস্ত্রে সজ্জিত দেবীকে অলঙ্কারে ভূষিত করেন কুবের, সূর্যদেব দেবীকে কাঞ্চন বর্ণের সৌন্দর্যময় দ্যুতি প্রদান করেন। সবকিছুর সম্মিলনে দেবী হয়ে ওঠেন অপার রূপের প্রতীক। বিশ্বকর্মা প্রদান করেন দুর্ভেদ্য কবচ-কুণ্ডল ও অক্ষয় বস্ত্র। এতে দেবীর সুরক্ষিত হয়ে উঠেন। আর হিমালয় তাকে দেন বাহনদেব সিংহ। দেবতাদের মিলিত তেজ আর শক্তিতে দেবী দুর্গা হয়ে ওঠেন বলীয়ান। অসুর নিধন করে মহিষাসুরমর্দিনী রূপ লাভ করেন তিনি।

সময়ের পরিক্রমায় এখন অনেকেই নিজের মতো করে দেবীকে সাজিয়ে তোলেন। আধুনিক অনাধুনিক বেশভূষা ও সরঞ্জামাদির দেখাও মিলে দেবীর হাতে। এতে দেবীকে তাদের মতো করে পাওয়ার বাসনা হয়তো তৈরি হয় কিন্তু স্বাত্তিকরূপে দেবী সন্তুষ্ট হয় কি না তা প্রশ্ন থেকে যায়। তবে শাস্ত্র পাঠ বোঝা যায়, দেবী অপার মহিমা সম্পন্না, মাতৃগুণ সম্পন্ন দেবী দুর্গা ভক্তদের এমন পাগলামিকে সহজভাবেই দেখেন।

বিনয় দত্ত: কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক

[email protected]

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)

Comments

The Daily Star  | English

Results of DU admission tests of all units published

There was a pass rate of 8.89 percent in A unit [Science] , 10.07 percent in B unit, 13.3 percent in C unit (Business), and 11.75 percent in Cha Unit (Fine Arts)

32m ago