নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি

বীরভূমের বালুমহালের দখল নিয়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষ, বোমাবাজি

পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার লাভপুরে দুই দলের মধ্যে বোমা-গুলির লড়াইয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা চার, আট নাকি ১০ তা নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য রয়েছে।
বোমাবাজিতে হতাহতদের হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। ছবি: সুব্রত আচার্য

পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার লাভপুরে দুই দলের মধ্যে বোমা-গুলির লড়াইয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে মৃতের সংখ্যা চার, আট নাকি ১০ তা নিয়ে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য রয়েছে।

স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন থেকে সেখানে বালু উত্তোলন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার লড়াই চলছিল। বামফ্রন্টের সময় সেখানে সিপিএমের আধিপত্য ছিল কিন্তু বর্তমানে সেখানে শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের ছত্রছায়ায় বালুর অবৈধ কারবার চলছিল। এই বালুমহালের নিয়ন্ত্রণ নিয়েই গতকাল বোমা-গুলির লড়াইয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

কলকাতার সংবাদভিত্তিক চ্যানেল ২৪ ঘণ্টাসহ বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরে এই ঘটনায় আট জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। তবে বীরভূমের স্থানীয় সাংবাদিক এবং গ্রামবাসী সংখ্যাটি ১০ বলে দাবি করেছেন। যদিও বীরভূম জেলা পুলিশ চার জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে।

বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সিপিএম এবং বিজেপি মিলে তাদের কর্মীদের ওপর বোমা-গুলি চালানোর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি সেখানে উসকানি দিচ্ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত থেকে ওই গ্রামে সিপিআইএমের সন্ত্রাসীরা ঢুকে পড়ে এবং শুক্রবার সকালে তৃণমূল সমর্থক গ্রামবাসীদের ওপর বোমা-গুলি চালায়।

সিপিআইএমের স্থানীয় নেত্রী সুনিতা হাঁসদা তৃণমূলের এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সেখানে সিপিআইএমকে কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাতে দেয় না তৃণমূল। সেখানে সিপিআইএম এই অশান্তি করবে কি করে?

বীরভূম জেলা পুলিশ জানায়, নিহতের সংখ্যা চার। প্রত্যেকেই পুরুষ। বোমার আঘাতেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে মীরপুর গ্রামের দরবারপুর হাইস্কুলের সামনে বিস্ফোরণ হওয়া বেশ কয়েকটি বোমার অংশ পাওয়া গেছে বলেও জানায় পুলিশ।

রাজনৈতিক সংঘর্ষ কিনা এই নিয়ে পুলিশ অবশ্য কিছু বলতে রাজি হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Pollution claims 2.72 lakh lives in one year

Alarming levels of air pollution, unsafe water, poor sanitation, and exposure to lead caused over 2.72 lakh premature deaths in Bangladesh in 2019.

1h ago