মুগ্ধতায়, রুদ্ধশ্বাসে জয়ার ৩১ মিনিট

ছবিটির পুরোটা জুড়ে পাওয়া যাবে জয়া আহসানকে। “ভালোবাসার শহর” স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি জয়ার বললে ভুল হবে না। মুগ্ধ হয়ে দেখতে হয় তাঁর অভিনয়। তিনি অন্নপূর্ণা দাস চরিত্রটি হয়ে উঠেছেন কী দারুণভাবে।
joya ahsan
“ভালোবাসার শহর” স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

ছবি: ভালোবাসার শহর

 

পরিচালক: ইন্দ্রনীল রায়চৌধুরী

 

অভিনয়: জয়া আহসান, ঋত্বিক চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার

দৈর্ঘ্য: ৩১ মিনিট

ছবিটির পুরোটা জুড়ে পাওয়া যাবে জয়া আহসানকে। “ভালোবাসার শহর” স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি জয়ার বললে ভুল হবে না। মুগ্ধ হয়ে দেখতে হয় তাঁর অভিনয়। তিনি অন্নপূর্ণা দাস চরিত্রটি হয়ে উঠেছেন কী দারুণভাবে।

কলকাতার নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের এক মেয়ে অন্নপূর্ণা। জীবনযুদ্ধ তাঁর নিত্যসঙ্গী। তারপরও ভালোবাসার পুরোটা ধরে রেখেছেন এই শহরটিকে ঘিরে। তাঁর প্রেমিক আদিল হায়দর (ঋত্বিক চক্রবর্তী) একজন অবাঙালি, অন্য ধর্মের মানুষ। তিনি জানেন একবার যে মানুষ কলকাতা থেকে বেরিয়ে যায়, সে আর ফিরে আসে না। সম্ভাবনাও নেই। কিন্তু অন্নপূর্ণা (জয়া আহসান) ভাবেন তিনি ফিরে আসবেনই। বাড়ির মানুষের অমতে তাই প্রেমিকের হাত ধরে ভোরের ট্যাক্সি ধরে দূরে চলে যান।

তিনশ’ বছরের কলকাতা থেকে চলে যান দূরের অন্য শহরে। এটি কলকাতার গল্প হলেও পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তের গল্প হয়ে উঠতে পারে। গল্পটি সেভাবেই বোনা হয়েছে। ৩১ মিনিটের “ভালোবাসার শহর” দর্শকদের বসিয়ে রাখবে গভীর রুদ্ধশ্বাসে।

আদিল আর ফিরে আসেন না। দুজন থেকে তারা তিনজন হন। একমাত্র কন্যা নূরীকে নিয়ে ফিরে আসেন অন্নপূর্ণা। তারপর? কোথায় নিয়ে যায় তাঁদের ভালোবাসার শহর? যে শহরকে ভালোবেসে অন্নপূর্ণা ফিরতে চেয়েছিল, সেই শহর কি তাঁকে দিতে পারবে পাল্টা ভালোবাসার উত্তাপ? নাকি শহরের ধুলো-ধোঁয়ায় তলিয়ে যাবে অসুস্থ মেয়ে নূরী?

Comments