সিনেমা, গান, কনসার্ট ক্ষতিকর: সৌদি গ্র্যান্ড মুফতি

সৌদি আরবের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আব্দুল আজিজ আল আল-শেখ সিনেমা ও গানের কনসার্টকে ক্ষতিকর ও তা মানুষের মনকে কলুষিত করে বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি এমন সময় এই মন্তব্য করলেন যখন রক্ষণশীল দেশটিতে সাংস্কৃতিক সংস্কার আনার চেষ্টা করছে সরকার। ফলে সংস্কারের বিষয়টি আরও জটিল হয়ে পড়তে পারে।
সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আব্দুল আজিজ আল আল-শেখ। এএফপি ফাইল ছবি

সৌদি আরবের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা গ্র্যান্ড মুফতি শেখ আব্দুল আজিজ আল আল-শেখ সিনেমা ও গানের কনসার্টকে ক্ষতিকর ও তা মানুষের মনকে কলুষিত করে বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি এমন সময় এই মন্তব্য করলেন যখন রক্ষণশীল দেশটিতে সাংস্কৃতিক সংস্কার আনার চেষ্টা করছে সরকার। ফলে সংস্কারের বিষয়টি আরও জটিল হয়ে পড়তে পারে।

গ্র্যান্ড মুফতির নিজের ওয়েব সাইটেই মন্তব্যগুলো প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, “সিনেমা ও দিন-রাতব্যাপী বিনোদন “নিরীশ্বরবাদী ও পচা” বিদেশি ফিল্মের দ্বার উন্মুক্ত করে দিতে পারে ও নারী-পুরুষের মেলামেশাকে উৎসাহিত করতে পারে।

রক্ষণশীল সংস্কৃতির এই দেশটিতে সিনেমা ও প্রকাশ্য কনসার্ট আগে থেকেই নিষিদ্ধ। তবে ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আব্দুল আজিজ গত বছর দেশের সাংস্কৃতিক অবস্থা পাল্টানোর ঘোষণা দেন। এর জন্য ‘ভিসন ২০৩০’ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সৌদি সরকার।

গত সপ্তাহে দেশটির বিনোদন কর্তৃপক্ষের প্রধান অমর আল-মাদানি জানান, এ বছরই সৌদি আরবে সিনেমা ও কনসার্ট চালুর সম্ভাবনা রয়েছে। তার এই কথা বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র ঘরোয়া অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার অনুমতি রয়েছে।

মাদানিকে উদ্ধৃত করে সৌদি গেজেট লিখেছে, লোহিত সাগরের বন্দর নগরী জেদ্দায় খুব শিগগির অনুষ্ঠান আয়োজন করতে চলেছেন সৌদি গায়ক মোহাম্মেদ আবদো।

গ্র্যান্ড মুফতি আল-শেখ সাপ্তাহিক একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানে বলেছেন, “আমার বিশ্বাস বিনোদন কর্তৃপক্ষের যারা দায়িত্বে রয়েছেন তাদেরকে খারাপ থেকে ভালোর দিকে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, মন্দ জিনিসের জন্য দ্বার উন্মুক্ত করতে নয়।”

তিনি আরও বলেন, “চলচ্চিত্রের নামে নির্লজ্জ, অনৈতিক, নিরীশ্বরবাদী ও পচা ছবি দেখানো হতে পারে।”

মুফতি বলেন, “গানের পার্টিতে ভালো কিছু থাকে না, বিনোদনের জন্য দিন-রাত মুভি হাউজ খোলার মাধ্যমে নারী-পুরুষের মেলামেশাকে উৎসাহিত করা হবে।”

“ভিসন-২০৩০” এ বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চায় সৌদি সরকার। সেই সঙ্গে নাগরিকদের রক্ষণশীল জীবনধারা থেকে বের করে নিয়ে আসারও পরিকল্পনা রয়েছে এতে।

পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, “সংস্কৃতি ও বিনোদন উন্নত জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।”

গত সপ্তাহে ফরেন অ্যাফেয়ার্স ম্যাগাজিনকে প্রিন্স মোহাম্মেদ জানান যে তার বিশ্বাস খুব অল্প সংখ্যক কট্টর ধর্মীয় নেতা বাদে অধিকাংশই আলোচনা পর্যালোচনার মাধ্যমে এই পরিকল্পনার যৌক্তিকতা বুঝতে পারবেন।

Click here to read the English version of this news

Comments