‘এখন পর্যন্ত ৫০ টন মাছ মরেছে সুনামগঞ্জের হাওরে’

সুনামগঞ্জের হাওরগুলোতে আকস্মিক বন্যার পর মাছ ও হাঁস মারা যাওয়ার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। মরা মাছ ও হাঁস হাওরের পানিতে ভাসছে দেখা যাচ্ছে। মৎস্য বিভাগ বলছে এখন পর্যন্ত হাওরগুলোতে ৫০ টন মাছ মরেছে।
হাওরের পানিতে ভাসছে মরা মাছ। ছবি: স্টার

সুনামগঞ্জের হাওরগুলোতে আকস্মিক বন্যার পর মাছ ও হাঁস মারা যাওয়ার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। মরা মাছ ও হাঁস হাওরের পানিতে ভাসছে দেখা যাচ্ছে। মৎস্য বিভাগ বলছে এখন পর্যন্ত হাওরগুলোতে ৫০ টন মাছ মরেছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সৈয়দ মেহেদী হাসান ওই এলাকার হাওরগুলো পরিদর্শনে রয়েছেন। পরিদর্শনকালে তিনি দ্য ডেইলি স্টারের মৌলভীবাজার প্রতিনিধিকে মরা মাছের পরিমাণ সম্পর্কে জানিয়েছেন।

আগামী এক সপ্তাহ মারা মাছ ও হাঁস না খেতে স্থানীয়দের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে গতকালও এলাকাগুলোতে মাইকে প্রচারণা চালানো হয়েছে। সিলেটের মৎস্য বিভাগের ডেপুটি ডিরেক্টর মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, মাছ না খাওয়ার পাশাপাশি হাওরে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতেও স্থানীয়দের অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

মেহেদী হাসান জানান, হাওরের বেশিরভাগ অংশের পানি এখনও দূষিত। তার মতে, প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত পানি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে সহায়ক হবে।

হাওরের এই অবস্থা স্থানীয়দের যেমন ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তেমনি হতবাকও করেছে। তাহেরপুর উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের মনির মিয়া নামের এক ব্যক্তি জানান, গত ফেব্রুয়ারিতেই বিলের পানিতে ১০ কেজি কার্প মাছের ডিম ছাড়া হয়েছিল। প্রতি কেজি ডিম থেকে আড়াই লাখ মাছের পোনা হওয়ার কথা। কিন্তু এপ্রিলের শুরুর দিকেই সব ভেসে গেছে।

একই গ্রামের অনিল (৩৫) দাস নামের এক জেলেও মাছ মরার ঘটনায় অবাক। তিনি বলেন, “ডুবে যাওয়া ধান পচে এভাবে মাছ মরতে জীবনে কখনো দেখিনি।”

এর মধ্যেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি দল হাওরের পানির নমুনা সংগ্রহ করতে সুনামগঞ্জের কয়েকটি হাওর পরিদর্শন করছেন।

শনিবার দিনের শেষদিকে মৌলভীবাজার মৎস্য অফিস সংবাদ সম্মেলন করবে। সংবাদ সম্মেলনে হাকালুকি হাওরের পানি ও মাছের বর্তমান অবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করা হবে বলে জানিয়েছেন কুলাউড়া উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ।

Click here to read the English version of this news

Comments

The Daily Star  | English

Create right conditions for Rohingya repatriation: G7

Foreign ministers from the Group of Seven (G7) countries have stressed the need to create conditions for the voluntary, safe, dignified, and sustainable return of all Rohingya refugees and displaced persons to Myanmar

3h ago