শিশু অপরাধী: ‘গ্যাং কালচার’ কি নতুন কিছু?

কয়েকবছর আগে সকাল ৮টার দিকে আসাদ এভিনিউয়ে মেয়েকে স্কুলে নামিয়ে দিতে যাওয়ার সময় দেখলাম ৫/৬ টি কিশোর তাদের স্কুল ইউনিফর্ম পরেই মোহাম্মদপুর টাউনহলের ভেতরের দিকে চলে গেল। ব্যাপার কী, ছেলেগুলো এইসময়ে স্কুলে না গিয়ে ইউনিফর্ম পরে, কাঁধে ব্যাগ নিয়ে কোথায় যাচ্ছে? মেয়ে জানালো বিভিন্ন স্কুলে ছেলেপেলেদের নাকি এরকম গ্রুপ থাকে, যারা স্কুল ফাঁকি দিয়ে আজেবাজে কাজ করে বেড়ায়।
সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত উত্তরার কিশোর আদনান। ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

কয়েক বছর আগে সকাল ৮টার দিকে আসাদ এভিনিউয়ে মেয়েকে স্কুলে নামিয়ে দিতে যাওয়ার সময় দেখলাম ৫/৬ টি কিশোর তাদের স্কুল ইউনিফর্ম পরেই মোহাম্মদপুর টাউনহলের ভেতরের দিকে চলে গেল। ব্যাপার কী, ছেলেগুলো এইসময়ে স্কুলে না গিয়ে ইউনিফর্ম পরে, কাঁধে ব্যাগ নিয়ে কোথায় যাচ্ছে? মেয়ে জানালো বিভিন্ন স্কুলে ছেলেপেলেদের নাকি এরকম গ্রুপ থাকে, যারা স্কুল ফাঁকি দিয়ে আজেবাজে কাজ করে বেড়ায়। বাবা মা স্কুলের কাছে নামিয়ে দিয়ে যায়, এরা কোন এক কায়দায় স্কুলে না ঢুকে এদিক-ওদিক চলে যায়। ব্যাপারটা নিয়ে বিচলিত বোধ করেছিলাম সেদিন। একটা শঙ্কা কাজ করেছিল বাচ্চাগুলোর জন্য, মায়া লেগেছিল তাদের বাবা মায়েদের জন্য। বাবা মা এবং এই সন্তানরা কেউই হয়তো জানেনা ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছে তাদের জন্য। ব্যাপারটা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম।

এত বছর পর ‘গ্যাং কালচার’ এবং এর জের ধরে বীভৎস কায়দায় কিশোর আদনানকে হত্যার খবরটি পড়ে ঐ বাচ্চাদের কথাই প্রথমে মনে পড়ল আমার। খবরে দেখলাম এরকমই আরও কিছু কিশোর গ্যাং বা দল তৈরি করে এলাকায় এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। এই বয়সের বাচ্চারা মারামারি, হৈচৈ, ঝগড়া বিবাদ, হুলুস্থুল নাচ গান করতেই পারে, কিন্তু তাই বলে এলাকার দখল নিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘাত, বন্ধুকে মেরে ফেলা, মারার আগে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া! এ ধরনের ভয়াবহ অপরাধ করার কথা আমরা ভাবতে পারছি না ঠিকই কিন্তু আমাদের বাচ্চারা অনায়াসে এগুলো করে ফেলছে।

বিভিন্ন এলাকাতেই দেখা যায় কিশোর-তরুণরা জোরে হর্ন বাজিয়ে, সাইলেন্সার ছাড়া দ্রুত গতিতে গাড়ি বা মটর সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে, মেয়েদের উত্যক্ত করছে, মাইক বাজিয়ে পাড়া-মহল্লা মাথায় তুলছে। আমরা এসব সহ্য করি, করতে বাধ্য হই। ভয়ে বা ঝামেলা এড়ানোর জন্য কেউ এদের বিরুদ্ধে কোন আওয়াজ করে না। উত্তরাতে নাইন স্টার ও ডিসকো বয়েজ নামে যে গ্রুপগুলো এইসব কাজ করছিল তাদেও সদস্যদের সবার বয়সই ১৪ থেকে ১৮ এর মধ্যে। এদের বেশিরভাগই উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত ঘরের সন্তান। নিম্নবিত্ত ঘরের পড়াশোনা না জানা কিশোর তরুণরা আছে নেতৃত্বে। উত্তরার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের উপর এদের বড় ধরনের প্রভাব রয়েছে। আর এই বিষয়টিই খুব ভয়ংকর পরিণতি ডেকে আনছে এই সমাজে। দেখা যাচ্ছে শিক্ষিত, স্বচ্ছল ও ধনী পরিবারের বেপরোয়া বা বখাটে সন্তানেরা চালিত হচ্ছে সমাজের বঞ্চিত পরিবারের লেখাপড়া না করা কিছু মাস্তান ছেলেদের দ্বারা।

উত্তরাতে ঘটে যাওয়া এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের আগেই এ ধরনের ঘটনা সম্পর্কে অনেকে জানতো। কিন্তু কোন পক্ষই তেমন মাথা ঘামায়নি– স্কুল কর্তৃপক্ষ, অভিভাবকরা, এলাকাবাসী বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কেউই নয়। আদনান নিহত হওয়ায় সবার টনক নড়েছে। কিশোর তরুণদের এভাবে বখে যাওয়া বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক শেখ হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেছেন, “নারায়ণের সাথে সাথে বিভিন্ন দেশে এই গ্যাং কালচার তৈরি হতে দেখা গেছে। আইনের ভাষায় একে বলে ‘জুভেনাইল সাব কালচার’। অনেক সময় বঞ্চনা থেকে কিশোরদের মধ্যে এমন দল গড়ে ওঠে। আবার বীরত্ব দেখাতেও কিশোররা মাস্তানিতে যুক্ত হয়। পাড়ায়-মহল্লায় আগেও এমনটা হতো, এখন সহিংস রূপ দেখতে পারছি।”

বিভিন্ন অপরাধের সাথে শিশু কিশোরদের ক্রমবর্ধমান সংশ্লিষ্ট হওয়ার হার উদ্বেগজনকভাবে যে বেড়েছে, তা কিন্তু খুব সাম্প্রতিক ঘটনা নয়। অনেকদিন ধরেই ধীরে ধীরে বাড়ছে কিন্তু আমরা নজর দেইনি এবং এখনও দিচ্ছি না। বহুবার পত্রপত্রিকায় সংবাদ বেরিয়েছে যে পথশিশুরা না বুঝেই বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে। এসবের পেছনে কাজ করছে অপরাধীদের সংঘবদ্ধ চক্র। অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বারবার বলে আসছেন অপরাধী চক্র নিজেদের স্বার্থেই অপরাধের সঙ্গে শিশু কিশোরদের জড়িত করছে এবং এই হার দিন দিন বাড়ছে। এদের অধিকাংশই পথশিশু। কারণ পথশিশুদের নামমাত্র টাকা দিয়ে অপরাধ জগতে ভিড়িয়ে নেয়া যায়। মাদক ব্যবহারের মাধ্যমে এরা নিজেরাই অপরাধ জগতের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছে। পথশিশু বলেই হয়তো আমরা বিষয়টি আমলে নেইনি। কিন্তু এখনতো আগুনের আঁচ আমাদের অতি আদরের গৃহবাসী শিশুদের গায়েও লাগছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী দেশে পাঁচ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা চার কোটি। এদের মধ্যে এক কোটি ৩০ লাখ শিশু ঝুঁকিপূর্ণ কাজে সাথে যুক্ত। আর অভাবের কারণে এদের অধিকাংশই নানারকম অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, ২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী শতকরা ৪৪ ভাগ পথশিশু মাদক চালানের সঙ্গে জড়িত, ৩৫ ভাগ জড়িত পিকেটিং এর সাথে, ১২ ভাগ জড়িত ছিনতাইয়ের সাথে, ১১ ভাগ জড়িত মানব পাচারের সাথে এবং ২১ ভাগ অন্যান্য অপরাধের সাথে।

ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউনের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ শিশু মাদকে আসক্ত এবং এদের মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগ তাদের মাদক গ্রহণের খরচ মেটাতে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৫ সালে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে অনেককে আগ্নেয়াস্ত্র বহন, হত্যা, মাদক চালান, ডাকাতি, চুরি, রাজনৈতিক সহিংসতা, যৌন হয়রানির দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত আটক করেছে।

অথচ অপরাধের সাথে শিশু কিশোরদের ক্রমশ জড়িয়ে পড়ার হার বাড়ছে বলে আজ থেকে আট বছর আগে মানে ২০০৮ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিজেই উদ্যোগী হয়ে একটি গবেষণা করেছিল। সেই গবেষণা অনুযায়ী শিশু অপরাধীদের গড় বয়স ছিল ১৪ দশমিক ৯ বছর। মূলত পরিবারের আর্থিক অভাব, প্রাচুর্য, শিক্ষার অভাব, শাসনহীনতা, অভিভাবকের উদাসীনতা,  মূল্যবোধের সংকট, পরিবারের ভিতরে অপরাধীর বা অপরাধের উপস্থিতি শিশুকে বিপদের মুখে এনে দাঁড় করায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে বন্ধুবান্ধবরাই শিশু কিশোরদের অপরাধ জগতের দিকে টেনে নিলেও, দরিদ্র শিশুদের খাবার ও আশ্রয়ের কথা বলে অপরাধীরা এই জগতে টেনে আনে। এছাড়া সমাজের মধ্যে বিরাজমান ফারাকও শিশুকে অপরাধী হতে পথ দেখায়। এই শিশুদের শতকরা ৮০ জনই জানে যে তারা অপরাধ করছে। তারা নিজেরাই স্বীকার করেছে যে অভাবের কারণেই তারা অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট হয়েছে এবং এক্ষেত্রে কিশোরীরাই সংখ্যায় বেশি।

কিন্তু এখন শুধু দারিদ্রের কারণে নয়, অন্যান্য অনেক কারণেই সমাজের উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরাও অপরাধ জগতের সাথে ব্যাপকভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে। আদনান হত্যাসহ আরও অনেকগুলো ঘটনা আজ আমাদের সামনে একথাই প্রমাণ করে। সচ্ছল পরিবারের বাবা মায়েরা তাদের ব্যস্ততা ও অসচেতনতার কারণে পারছে না সন্তানকে পর্যাপ্ত সময় দিতে, তাদের যতœ নিতে, তাদের কাজকর্মের প্রতি দৃষ্টি দিতে, পারিবারিক ও সামাজিক মূল্যবোধ বজায় রাখার মত শিক্ষা দিতে। আর ব্যক্তিগতভাবে সময় দিতে না পারার এই ব্যর্থতা ঢাকতে গিয়ে সন্তানের হাতে তুলে দেয়া হয় অপরিমিত অর্থ, প্রাচুর্য ও যা খুশি তাই করার স্বাধীনতা। যা তাদের সন্তানকে করে তোলে বেপরোয়া, দুর্বিনীত ও অপরাধী। সেইসব বখে যাওয়া শিশু কিশোররা যেমন সহজে এই মন্দ পথে পা বাড়ায়, তেমনি দাগী অপরাধীরাও খুব সহজে তাদের ব্যবহার করার সুযোগ পায়।

বাবা মায়ের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ ও জীবনযাপন, কুশিক্ষা, অশিক্ষা, পরিবারের সদস্যদের অপরাধ করার প্রবণতা সচ্ছল ও অসচ্ছল দুই পরিবারের সন্তানকেই বিপদের মুখে ফেলে দেয়। দরিদ্র পরিবারের অভিভাবকরা নিজেরাই এতটা হতাশা, বিপদ ও জীবনযুদ্ধে জড়িয়ে থাকে যে সন্তানের নৈতিকতা নিয়ে ভাবার সময় বা সুযোগ কোনটাই তাদের নেই। তবে ধনী ও সচ্ছল পরিবারের চিত্র কিন্তু ভিন্ন। এখানে অভিভাবক সন্তানকে সময় দেয়ার পরিবর্তে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ব্যাপারে বেশি উৎসাহী থাকে। তারা মনে করে এটাই যথেষ্ট প্যারেন্টিং। কিন্তু আদতে ব্যাপারটা সেরকম নয়। আর তাই শিশু কিশোরদের হাতে থাকা গাড়ি, মটরসাইকেল, দামী ফোন, ঘড়ি, জামা কাপড় সবই ব্যবহৃত হচ্ছে অপরাধ কার্যক্রমের সাথে।

সচ্ছল ও ধনী পরিবারের শিশু কিশোররা যখন প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি কিছু পায়, যখন তাদের সময় কাটানোর কোন গঠনমূলক উপায় পায় না, যখন তাদের কাজের বা আচরণের জন্য কোথাও কোন জবাবদিহি করতে হয় না, যখন তারা দেখে চারপাশে তাদের জন্য সময় দেয়ার কেউ নেই, তাদের যতœ করার জন্য কেউ বসে নেই, যখন দেখে তাদের অভিভাবক অসৎ পথে টাকা আয় করছে, যখন দেখে পড়াশোনা না করেও, কাজকর্ম না করেও গাড়ি-ঘোড়া চড়া যায়, তখন তারা খুব সহজেই এমন বিপদজনক পথে পা বাড়ায়। এরা বুঝতেই পারেনা এই পথে সহজে ঢোকা গেলেও, বের হওয়া কঠিন। বিত্তশালী পরিবারের সন্তানদের মধ্যে অনেকের মধ্যে যে দুঃখবিলাস কাজ করে, সেই দুঃখবিলাসকে লাঘব করার জন্য তারা বেছে নেয় মাদক ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। একজন শিশু এত সহজ সরল থাকে যে, তাকে যে যেভাবে খুশি ব্যবহার করতে পারে। অপরাধীরা যেন তাদের ব্যবহার করতে না পারে এজন্য শিশু অপরাধীদের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে নজর রাখার জন্য এলাকায় এলাকায় নিয়মিতভাবে সরকারের প্রতিনিধি, অভিভাবক, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, নাগরিক সমাজ এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে একত্রিত হয়ে কঠোর উদ্যোগ নিতে হবে। বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে ভাসমান শিশুদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা ও ভালমন্দের দিকে। তাদের ন্যূনতম মৌলিক চাহিদা মেটানোর দায়িত্ব নিতে হবে এই আমাদেরই। হারিয়ে যাওয়া শিশু সংগঠনগুলোকে কীভাবে চাঙ্গা করা যায়, সেকথাও ভাবতে হবে। আমাদের শৈশব-কৈশোরের প্রিয় সংগঠনগুলো যেমন খেলাঘর, কচিকাঁচার আসর, চাঁদের হাট, গার্ল গাইড, স্কাউট এগুলো কোথায়? পাড়ায় পাড়ায় এদের শূন্যতা চোখে পড়ছে। শিশু অপরাধ ঠেকাতে দারুণভাবে এদের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।

আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে গডফাদারদের তালিকা প্রণয়ন করা, স্কুলে স্কুলে ও কোচিং সেন্টারে, বাচ্চাদের ফেইসবুক একাউন্টগুলোতে মাদক কেনাবেচার স্পটগুলোতে নজরদারি বাড়াতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা অভিভাবককে হতে হবে সচেতন। সময় দিতে হবে তাদের সন্তানদের।

সময় এসেছে শিশুর অপরাধী হওয়া এবং অপরাধী হওয়ার প্রেক্ষিত নিয়ে ভাবার। শিশু নিজে নিজে অপরাধী হয়না, তাকে অপরাধী বানানো হয়। একজন শিশু শুধু একটি পরিবারের নয়, একটি দেশের সম্পদ। দিনে দিনে শিশু কিশোরদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে, কেন বাড়ছে, কেন আমরা যতœবান হচ্ছিনা, কেন পরপর অনেকগুলো ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও আমরা নির্লিপ্ত থাকতে পারছি? কেন ভাবছি না এই ভয়াল থাবা থেকে আপনার আমার কারো শিশুই নিরাপদ নয়। যেকোনো সময় যেকোনো শিশুই যেকোনো গ্যাং কালচারের শিকার হতে পারে। এদের হাত থেকে আমরা কেউ মুক্ত নই।

Comments